ধর্ষণের বিচার কয়েক সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব, যদি যথাযথভাবে তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।
প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যে ভিকটিম সত্যিই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা।
এজন্য কিছু নির্দিষ্ট ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে , তা হলো:
১. যৌন নির্যাতনের ফরেনসিক পরীক্ষা (Sexual Assault Forensic Exam – SAFE) বা রেপ কিট
এই পরীক্ষাটি প্রশিক্ষিত ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিচালিত করতে হবে , এবং নিম্নলিখিত প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে:
শারীরিক আঘাতের চিহ্ন: শরীরে নীলচে দাগ, ছেঁড়া বা কাটার মতো চিহ্নের উপস্থিতি
ডিএনএ প্রমাণ: ধর্ষকের বীর্য, চুল, ত্বকের কোষ ইত্যাদি
বিদেশী বস্তু বা তন্তু: অপরাধস্থলে পাওয়া ভিকটিমের দেহে লেগে থাকা অপরিচিত তন্তু বা পদার্থ
২. টক্সিকোলজি পরীক্ষা
যদি সন্দেহ হয় যে ভিকটিমকে অজ্ঞান করার জন্য মাদক বা অ্যালকোহল প্রয়োগ করা হয়েছে, তবে টক্সিকোলজি পরীক্ষা করা হয়।
৩. আঘাতের নথিভুক্তকরণ
ভিকটিমের শরীরের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্ন ও ক্ষত পর্যবেক্ষণ করে নথিভুক্ত করা হয়, যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিচারের জন্য দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা
নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিচার দ্রুত নিশ্চিত করা সম্ভব:
® ফরেনসিক পরীক্ষার ফল দ্রুত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ
® আদালতে প্রমাণ ও সাক্ষ্য দ্রুত উপস্থাপন
® বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা
দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রদান, যাতে ভবিষ্যতে অপরাধীরা সতর্ক হয়
দ্রুত ও ন্যায়সংগত বিচার নিশ্চিত করতে এসব ধাপ অনুসরণ করা জরুরি।